সরল অংকের সূত্র

সরল অংক শিক্ষার্থীদেরকে গণিত বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে। পরবর্তীতে সরল অংকের নিয়ম গুলোকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা হয়। সরল অংকে মূলত কোন কাজের আগে কোন কাজের ব্যবহার করা হবে সেটা সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া কিভাবে একটি সমীকরণে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে সমাধান করা হয় সেটি শিখানো হয় সরল অংকে। আজকের এই লেখাটির মাধ্যমে আমরা সরল অংকের সূত্র সমূহ এবং মূল বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব।

সরল অংকের সূত্র BODMAS

সরল অংকের মূল সূত্র

সরল অংকে মূলত ধাপে ধাপে সমাধান নির্ণয় করা হয়। অর্থাৎ গাণিতিক সমস্যাগুলো একটি পর্যায় ক্রমে সমাধানের মাধ্যমে পুরো অংকটাকে সমাধান করা হয়। এই ক্ষেত্রে কোন কাজের পর কোন কাজ করা হবে সেটা বোঝাটাই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর এর জন্য BODMAS ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

BODMAS এ মূলত ৬ টি অক্ষর রয়েছে। প্রতিটি অক্ষর দ্বারা আলাদা কাজকে নির্দেশ করা হয়। এরমধ্যে B দিয়ে Brackets বা বন্ধনী এর কাজ বুঝানো হয়, O দিয়ে Orders of power or root তথা পাওয়ার বা বর্গমূল এর কাজ বুঝানো হয়, D দিয়ে Division বা ভাগ এর কাজ বুঝানো হয়, M দিয়ে Multiplication বা গুন এর কাজ বুঝানো হয়, A দিয়ে Addition বা যোগ এর কাজ বুঝানো হয়, S দিয়ে Subtraction বা বিয়োগ এর কাজ বুঝানো হয়।

এখানে আমাদের যেকোন সরল অংক সমাধানের ক্ষেত্রে প্রথমে বন্ধনী নিয়ে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ BODMAS এর প্রথমে রয়েছে B অর্থাৎ ব্রাকেটের কাজ প্রথমে করতে হবে। ব্র্যাকেট এর মধ্যে প্রথমে প্রথম বন্ধনী () পরবর্তীতে দ্বিতীয় বন্ধনী {} এবং তার পরবর্তীতে তৃতীয় বন্ধনী [] থাকলে সেটি নিয়ে কাজ করতে হবে।

যদি পাওয়ার, রুট বা বর্গমূল থাকে তবে সেটির কাজ প্রথমে করতে হবে। এরপরে ভাগের কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন সরল অঙ্কে যদি যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ থাকে তবে তাদের মধ্যে সবার প্রথমে ভাগের কাজ আগে করতে হবে। ভাগের কাজ করার পরে গুনের কাজ করতে হবে। গুনের কাজ শেষ হলে যোগের কাজ করতে হবে। সবার শেষে বিয়োগের কাজ করতে হবে।

আরো পড়ুন: সূচক ও লগারিদমের সূত্র সমূহের PDF ও ছবি Download

এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে খুব সহজে সরল অংক সমাধান করা যায়। এছাড়া এটি মনে রাখলে সাধারণ ভুলগুলো কম হয়। বিভিন্নভাবে অংক সমাধান করা যায় তবে একটি সঠিক ও সহজ নিয়ম অনুসারে সমাধান করলে সহজে এবং সঠিকভাবে অংকটি উপস্থাপন করা যায়। এর ফলে পরবর্তীতে গণিতের ভিত্তি যথেষ্ট শক্ত থাকে এবং বিভিন্ন কঠিন গনিত সহজে বোঝা যায়।

এই ছিল সরল অংকের সূত্র নিয়ে আমাদের এই লেখাটি। আমাদের এই ওয়েবসাইটে এরকম আরো তথ্যবহুল লেখা রয়েছে যেগুলো আপনাকে বিভিন্ন তথ্য জানতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আপনি ঘুরে দেখতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ যেখানে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন আপডেট প্রকাশ করে থাকি।

Previous Post Next Post

এই লেখাটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ওয়ালে শেয়ার করুন 😇 হয়তো এমনও হতে পারে আপনার শেয়ার করা এই লেখাটির মাধ্যমে অন্য কেউ উপকৃত হচ্ছে! এবং কারো উপকার করার থেকে ভাল আর কি হতে পারে?🥺