Game Development এর সম্পূর্ণ গাইডলাইন PDF সহ

গেম খেলতে আমরা কে না পছন্দ করি! আপনি কি জানেন, এই গেম ডেভেলপমেন্ট কত বড় ইন্ডাস্ট্রি? এখানে অসংখ্য মানুষ কাজ করছেন এবং অনেক পরিমাণে অর্থ রোজগার করছেন। অর্থ রোজগারের থেকে বড় কথা এই ইন্ডাস্ট্রি থেকে এমন অনেক প্রযুক্তির আবির্ভাব ঘটেছে সেগুলো আসলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যেমন কাজে লাগছে ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের ইন্টারনেটের দুনিয়াতেও বিপুল পরিবর্তন এনেছে।

সূচিপত্র (toc)

আপনি যদি গেম খেলতে পছন্দ করেন এবং গেম তৈরি করার জন্য আপনার মনে ইচ্ছা থাকে তবে এই আর্টিকেলটি আপনাকে অনেকটা সাহায্য করবে। আপনি এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানতে পারবেন কিভাবে আপনি একজন সম্পূর্ণ গেম ডেভলপার হয়ে উঠতে পারবেন। এর জন্য আপনার কি কি গাইডলাইন প্রয়োজন তার সবগুলোই আমরা এখানে আপনাদেরকে দিতে চলেছি। এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে আপনি একজন পরিপূর্ণ গেম ডেভলপার হয়ে উঠতে পারেন এবং কি কি বিষয় আমাদেরকে মাথায় রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।


শিখতে হলে যা কিছু প্রয়োজন হবে

গেম ডেভেলপমেন্ট এর সাথে যেহেতু কিছুটা গ্রাফিক্সের কাজ এবং প্রোগ্রামিং এর কাজ জড়িত সেহেতু একটু ভালো মানের কম্পিউটার আমাদের এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে। তবে এমন কোন কম্পিউটার প্রয়োজন হবে না যেটার জন্য আপনাকে অনেক টাকা খরচ করতে হবে। আসলে এমন একটি কম্পিউটার প্রয়োজন হবে যেটি মর্ডান সফটওয়্যার সাপোর্ট করতে পারে এবং কম্পিউটারটি এমন হতে হবে যাতে করে এটাতে একসাথে দু-তিনটা সফটওয়্যার চালানো যেতে পারে। যেহেতু গ্রাফিক্সের বেশ কিছু কাজ আমাদেরকে এক্ষেত্রে করতে হবে সে ক্ষেত্রে একটি গ্রাফিক্স কার্ড যদি আপনার কম্পিউটারে যুক্ত থাকে তবে অনেক ক্ষেত্রে আপনি কাজগুলোকে খুব তাড়াতাড়ি করতে পারবেন।

এছাড়াও গেম ডেভেলপমেন্ট এর বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে অর্থাৎ আপনি যদি এন্ড্রয়েড গেমস তৈরী করতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার যতটা CPU Power প্রয়োজন তার থেকে বেশি পরিমাণে প্রয়োজন হবে যখন আপনি একটি High Graphics Desktop গেমস তৈরি করতে যাবেন। নোট করার জন্য একটি খাতা প্রয়োজন হবে। Android Developer হওয়ার সম্পূর্ন পথনির্দেশনা আমরা আমাদের Android App Development এর সম্পূর্ন গাইডলাইন PDF সহ লেখাটি পড়ুন।

পরবর্তীতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটা আমাদের প্রয়োজন হবে সেটা হচ্ছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেট ছাড়া আমরা এমন অনেক কাজ রয়েছে যেটা করতে পারব না। যেমন প্যাকেজ ডাউনলোডিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার জন্য ইন্টারনেট সার্চ সবকিছুর জন্যই মূলত আমাদের ইন্টারনেট প্রয়োজন হবে। সুতরাং ভালো ইন্টারনেট কানেকশন আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

যা কিছু শিখতে হবে

গেম ডেভলপার হতে গেলে অবশ্যই আপনাকে বেশ কিছু জিনিস শিখতে হবে এবং প্রচুর প্র্যাকটিস করতে হবে। আমরা নিচে আপনাদেরকে যে সকল জিনিস শিখতে হতে পারে তার একটি লিস্ট নিম্নে দিয়ে দিয়েছি এবং পুরিপূর্নভাবে আমরা সেগুলোকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি।

Game Engine শিখতে হবে

গেম ইঞ্জিন হচ্ছে একটি সফটওয়্যার ফ্রেমওয়ার্ক, যেটির মধ্যে মূলত গেম ডেভলপমেন্ট করার সবকিছুই একপ্রকার দিয়ে দেওয়া থাকে। একজন গেম ডেভলপার খুব সহজেই গেম ইঞ্জিনকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করতে পারবেন, যেমন: একটি ক্যারেক্টর তৈরী করা, ক্যারেক্টার এর বিভিন্ন বিষয়কে ঠিক করে দেওয়া এবং বিভিন্ন গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস তৈরি করা থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছু গেম ইঞ্জিনের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। মূলত গেম ডেভলপমেন্ট করার জন্য আমাদের সবার আগে এবং সবথেকে জোর দিয়ে মূলত গেম ইঞ্জিন শিখতে হবে।

আপনি যদি গুগলে সার্চ দেন বেস্ট গেম ইঞ্জিন কোনটা তবে দেখতে পারবেন অনেকগুলো লিস্ট চলে এসেছে। আসলে যদি আপনি শুরু করে থাকেন এবং এর আগে আপনার কোন ধরনের আইডিয়া না থাকে গেম ডেভলপমেন্ট সম্পর্কে তবে অবশ্যই আমি আপনাকে বলব আপনি ইউনিটি (Unity) দিয়ে শুরু করতে পারেন। এছাড়াও আরো বেশকিছু Game Engine রয়েছে যেগুলো আপনাকে সাহায্য করতে পারে যেমন: Unreal Engine (Epic Games), Godot Engine, Game Maker Studio 2 (YOYO games), Construct (Scirra) ইত্যাদি।

আমি Unity বেশি পছন্দ করি এর কারণ হচ্ছে আপনি ফ্রিতে সব ধরনের কাজ এখানে করতে পারছেন। মডেলিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্যারেক্টার আপনি খুব সহজেই ফ্রিতে এখানে পেয়ে যাবেন। যদিও এর বেশ কিছু জিনিসকে আপনাদের হয়তোবা কিনতে হতে পারে কিন্তু যদি আপনি Student হয়ে থাকেন এবং আপনার কাছে এই মুহূর্তে টাকা না থেকে থাকে তবে অবশ্যই Unity একটি বেস্ট গেম ইঞ্জিন।

এছাড়া ইউনিটি গেম ইঞ্জিনের কমিউনিটি অনেক বড়। আপনি যদি ইন্টারনেটে যে কোন প্রবলেম নিয়ে সার্চ দেন তবে খুব সহজে আপনি তা খুঁজে পাবেন যদি আপনি ইউনিটি গেম ইঞ্জিন ব্যবহার করে থাকেন। কারণ অসংখ্য বিগেনার আপনার মতই ইউনিটি ব্যবহার করছে এবং এই মুহূর্তে সবথেকে বহুল ব্যবহৃত গেম ইঞ্জিন Unity গেম ইঞ্জিনই।

প্রোগ্রামিং শিখতে হবে

সাধারণভাবে গেইম ইঞ্জিন দিয়ে আপনি খুব সহজেই একটি গেম তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু গেমের বিভিন্ন সাধারণ বিষয় রয়েছে অর্থাৎ একটি ক্যারেক্টার নাড়াচাড়া করা বা কোন একটি ক্যারেক্টার কে কিল করলে একটি পয়েন্ট যোগ করা এবং ক্যারেক্টার কিভাবে নড়াচড়া করবে এসব বিষয়কে ঠিক করার জন্য অবশ্যই আমাদের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের প্রয়োজন হবে। এছাড়াও আপনি এই ধরনের কাজগুলো Visual Scripting এর সাহায্য করতে পারবেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আপনি যদি সাধারণভাবে কোনো একটা জিনিসকে তৈরি করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে প্রোগ্রামিং ভাষা জানতে হবে।

এই মুহূর্তে অনেকগুলো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের মাধ্যমে আপনি গেম ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন। তবে এমন একটি প্রোগ্রামিং ভাষাকে ব্যবহার করা উচিত যেটা বিষয়ক সকল সমস্যার সমাধানে আমরা ইন্টারনেটে খুঁজে পেতে পারি এবং যেটা ব্যবহারের সহজ হয় এছাড়াও ডিভাইস যাতে খুব কম পাওয়ার ব্যবহার করে কাজ করতে পারে। এ সকল দিক বিবেচনা করলে C++ সবথেকে বেস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ গেম ডেভেলপমেন্ট এর জন্য।

এছাড়াও আরও অনেক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে আমরা গেম ডেভেলপমেন্ট করতে পারি। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে Java, Python, Kotlin, Swift ইত্যাদি। তবে বর্তমানে পাইথন (Python) এর ব্যবহারে সবথেকে বেশি দেখা যাচ্ছে। জনপ্রিয়তা বাড়ছে এর সাথে সাথে বিভিন্ন কাজে এই ভাষার ব্যবহার অনেক পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। ডেটা সাইন্স থেকে শুরু করে গেম ডেভেলপমেন্ট সবক্ষেত্রে এর বহুল ব্যবহার প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে।

সার্ভার সাইড কাজ শিখতে হবে

আপনি যদি একটি মাল্টিপ্লেয়ার গেম তৈরি করতে চান সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে server-side কাজ শিখতে হবে। বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্লেয়ার খেলবে তাদের ডাটাগুলোকে এক জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে এবং বিভিন্ন স্থানের প্লেয়ারদেরকে দেখাতে হবে।

বিগেনারদের জন্য সবথেকে সহজ এবং ভালো মাধ্যমটি হচ্ছে হচ্ছে Firebase। এর মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই বিভিন্ন মাল্টিপ্লেয়ার গেম তৈরি করতে পারব এবং বিভিন্ন ইউজারদেরকে একসাথে কানেক্ট করতে পারব। এছাড়াও Firebase এ রয়েছে ইউজারদের অথেন্টিকেশন থেকে শুরু করে আরো অনেক কাজ সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।

ভার্সন কন্ট্রোল শিখতে হবে

একটি গেম তৈরি করতে হলে আমাদেরকে অনেক সময় অনেক ধরনের পরিবর্তন আনতে হয়।এছাড়াও আমরা একটি গেমের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ফাংশনালিটি যুক্ত করে থাকি এই ক্ষেত্রে যদি আমাদের মনে হয় যে আমাদের পূর্বের কোন বাদ দেওয়া ফাংশনালিটি যুক্ত তো সে ক্ষেত্রে আমরা কিভাবে তা করব?

Version control system মূলত আমরা এই জন্য ব্যাবহার করে থাকি। এই কারণে আপনাকে Git ও GitHub শিখতে হবে। এর ফলে আপনি খুব সহজে আপনার প্রজেক্ট এর বিভিন্ন ভার্সন সংরক্ষণ করতে পারবেন। GitHub দ্বারা আপনি আপনার প্রজেক্ট এর একটি কপি সহজে ইন্টারনেটে সংরক্ষণ করতে পারবেন এবং Git এর মাধ্যমে আপনি মূলত বিভিন্ন সময় তৈরি করা আপনার প্রজেক্ট এর অংশবিশেষ আলাদাভাবে সংরক্ষণ করতে পারবেন।

কোথা থেকে শিখব

গেম ডেভলপমেন্ট শিখার সব থেকে ভালো মিডিয়াম হচ্ছে ইউটিউব। ইউটিউবের গেম ডেভলপমেন্ট কমিউনিটি অনেক বড় এবং বেশ কিছু ক্ষেত্রে বড় বড় কোর্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকেও ভালো মানের ভিডিও টিউটোরিয়াল ইউটিউবে পাওয়া যায়।

তবে আপনি যদি বাংলা ছাড়া অন্য কোন ভাষায় তেমন ভালো পারদর্শী না হয়ে থাকেন অর্থাৎ ইংরেজি যদি খুব একটা ভালো না বুঝে থাকেন তবে আপনার জন্য ইউটিউব থেকে শেখাটা অনেকটা কঠিন হবে। কারণ বাংলাদেশে গেম ডেভলপমেন্ট কমিউনিটি খুব একটা বড় নয়। এছাড়াও বাংলাতে তেমন ভালো মানের ভিডিও আপনি খুব কমই পাবেন তবে বেশ কিছু মানুষজন যারা বাংলাতে ইউটিউবে গেম ডেভলপমেন্ট রিলেটেড ভিডিও তৈরি করছে তাদের থেকে ভালো কিছু আশা করা যায়। আশাকরি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাতেও অসংখ্য ভালো মানের ডেভলপমেন্ট ভিডিও পাওয়া যাবে।

তবে প্রোগ্রামিং বিষয়ক অসংখ্য ভিডিও টিউটোরিয়াল আপনি বাংলাতে পেয়ে যাবেন ইউটিউবে। সুতরাং ইউটিউব থেকে যদি আপনি প্রোগ্রামিং শিখতে চান বাংলা ভাষাতে তবে আপনাকে খুব একটা বেগ পেতে হবে না। কারণ আনিসুল ইসলাম স্যার, রাব্বিল হোসেন, ঝংকার মাহবুব, সুমিত ভাইয়ার মত অনেকে বাংলাতে প্রোগ্রামিং প্রোগ্রামিং বিষয়ক বিভিন্ন ভালো মানের টিউটোরিয়াল তৈরি করে যাচ্ছেন।

তবে আপনি যদি সামান্য ইংরেজি বুঝে থাকেন তবে খুব সহজেই আপনি ইউটিউব থেকেই খুব ভালো মানের গেম তৈরি করার মত জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। এর জন্য আপনার রকেট সাইন্স জানার প্রয়োজন হবে না।

কিভাবে আয় করব

আমরা কোন কিছু শিখি সেটা থেকে মূলত আয় করার উদ্দেশ্যে বা এমন কিছু লাভ করার উদ্দেশ্যে যেটা আসলে আমরা চাই। এক্ষেত্রে গেম ডেভেলপমেন্ট এ অনেকে আসতে চান শুধুমাত্র টাকা রোজগার করার জন্য। তো সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি বেশ ভালো মানে ভালো মানের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন গেম ডেভেলপমেন্ট থেকে। তবে অবশ্যই আপনাকে ভালো মানের একজন ডেভলপার হতে হবে এবং ব্যবসা ও প্লেয়ারের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।

একটি গেমের মধ্যে আমরা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট প্লেসমেন্ট করে ইনকাম করতে পারি। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার গেমটি যারা ব্যবহার করবে বা খেলবে তারা কোন একটি লেভেল পার করতে হলে বা কোন একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দেখবে। যার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন।

এছাড়া আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য গেম ডেভলপার হিসেবে কাজ করতে পারেন। যেখানে আপনাকে নির্দিষ্ট কাজ দেওয়া হবে এবং সে কাজগুলোকে সম্পন্ন করার মাধ্যমে আপনি সেই প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একজন ভাল মানের ডেভলপার হতে হবে এবং প্রোগ্রামিংয়ে অবশ্যই আপনাকে ভালো হতে হবে।

PDF Download

এই ছিল গেম ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক সকল তথ্য। আপনাদের আরো কিছু জানা থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে জানাতে ভুলবেন না। আমাদের পেইজে মেসেজ দিয়ে আমাদেরকে আপনার প্রয়োজনীয় কোন প্রশ্ন থাকলে জানাতে পারেন, আমরা যথা সম্ভব উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের সাথেই থাকুন এবং আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়তে অবশ্যই নোটিফিকেশন এনাবেল করুন।

Previous Post Next Post

এই লেখাটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ওয়ালে শেয়ার করুন 😇 হয়তো এমনও হতে পারে আপনার শেয়ার করা এই লেখাটির মাধ্যমে অন্য কেউ উপকৃত হচ্ছে! এবং কারো উপকার করার থেকে ভাল আর কি হতে পারে?🥺