৫ টি এমন সফটওয়্যার যা ছাত্রজীবনে শিখে রাখা উচিত

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন সফটওয়্যার ইউজ করতে হয়। এই সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা থাকলে আমরা অনেক কম সময়ের মধ্যে কাজগুলো করে ফেলতে পারি। এখন প্রায় প্রতিটি অফিসে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় কেননা এর মাধ্যমে হিসাব রাখা এবং বাকি কাজগুলো খুব সহজে করা যায়। অবশ্যই কম্পিউটারে আমাদেরকে দক্ষ হতে হবে। কম্পিউটারের দক্ষতা বলতে শুধুমাত্র কম্পিউটার অন করা বা কোন কিছু টাইপ করাকে বুঝায় না। কম্পিউটার বিষয়ে দক্ষতা বলতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যারগুলো সঠিকভাবে জানা এবং সেগুলো ব্যবহার করা সম্পর্কে ধারণাকে বোঝানো হয়ে থাকে।

আমরা যদি এই সফটওয়্যারগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা রাখি এবং এইগুলো দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজ গুলো রয়েছে সেগুলো খুব সহজে করে ফেলতে পারি তবে যে কোন প্রতিষ্ঠান আমাদেরকে কর্মচারী হিসেবে চাইবে। কেননা আমরা তাদের কাজ গুলোকে খুব সহজে করে দিতে পারব এবং খুব কম সময়ের মধ্যে করে দিতে পারব। এতে করে প্রতিষ্ঠানটি নিজে লাভবান হবে এবং যেকোনো প্রতিষ্ঠানের তখনই কাউকে হায়ার বা কাজ দিতে চায় যখন সেই ব্যক্তি ঐ প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো ফলাফল বয়ে আনে। এজন্য কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণা থাকাটা এখন চাকরি জগতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সফটওয়্যার যা ছাত্রজীবনে শিখে রাখা উচিত

তবে অধিকাংশ চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদেরকে অনেক কঠিন কোন সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা না রাখলেও চলবে। শিক্ষার্থী হিসেবে পরবর্তীতে যাতে কোন একটি আলাদা সফটওয়্যারকে শেখার জন্য সময় বেশি ব্যয় করতে না হয় এজন্য অবশ্যই কিছু বেসিক সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা আগে থেকে নিয়ে রাখতে হবে।

সফটওয়্যার (toc)

এই আর্টিকেলের আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু সফটওয়্যার সম্পর্কে আলোচনা করবো যেগুলো আমাদের ছাত্রজীবনে শিখে রাখা উচিত। এগুলো আমাদেরকে পরবর্তীতে কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে সহায়তা করবে। এছাড়াও যদি আমরা পরবর্তীতে নিজেদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করি তবে সে ক্ষেত্রে সফটওয়্যারগুলো আমাদেরকে সাহায্য করবে। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে সফটওয়্যার জানার কোন বিকল্প নেই।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড একটি শক্তিশালী সফটওয়্যার। এর মাধ্যমে আমরা যেকোনো নথিপত্র তৈরি করতে পারি অর্থাৎ যেকোন ডকুমেন্টকে আমরা তৈরি করতে পারি আবার এডিটর করতে পারি। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট তৈরি করতে পারি আবার একইভাবে এটির মাধ্যমে আমন্ত্রণপত্র তৈরি করা যেতে পারে। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড শেখা থাকলে আমরা খুব সহজে অন্য যে কোনো ডকুমেন্ট এডিটর ব্যবহার করতে পারব। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সঠিকভাবে জানলে আমরা এই ধরনের আরো ডকুমেন্ট তৈরি করার সফটওয়্যার এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারব। ছাত্রজীবনে অবশ্যই এটা আমাদের জন্য অনেক সাহায্যকারী হয়ে উঠবে।

পাওয়ারপয়েন্ট

পাওয়ারপয়েন্ট আমাদেরকে প্রেজেন্টেশন তৈরি করার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। এছাড়াও এটির মাধ্যমে আমরা গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে পারি। অনেকে হয়তো বিশ্বাস করতে চান না তবে পাওয়ারপয়েন্টের মাধ্যমে অ্যানিমেশন থেকে শুরু করে ইমেজ এডিটিং এর কাজ করা যায়। এমনকি এটার মাধ্যমে আমরা ডকুমেন্টও তৈরি করতে পারব। বিভিন্ন ধরনের ই-বুক তৈরি করার ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর পাশাপাশি পাওয়ারপয়েন্ট কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া মাইক্রোসফট পাবলিশার্স এর অনেক কাজ পাওয়ারপয়েন্টের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এজন্য ছাত্রজীবনে অবশ্যই মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট এর টুলগুলো সম্পর্কে ভালো রকমের ধারণা থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। চাকরি জীবনে মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট এর ব্যবহার বিভিন্ন ক্ষেত্রে করা হয়। তাই আপনার যদি কর্পোরেট দুনিয়ায় কাজ করার ইচ্ছা থাকে তবে অবশ্যই পাওয়ারপয়েন্ট সম্পর্কে ছাত্রজীবনে ভালো রকমের ধারণা তৈরি করে রাখুন।

মাইক্রোসফট এক্সেল

বর্তমানে অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট এক্সেল এর মাধ্যমে তাদের আয় ব্যয় এবং মাসিক কত পরিমাণে লাভ হচ্ছে বা ক্ষতি হচ্ছে সেই হিসাব গুলো করে থাকে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে মাইক্রোসফট এক্সেল জানতে হয় এবং সেটা চাকরির বিজ্ঞাপনে খুব ভালো ভাবে উল্লেখ করা থাকে। ছাত্রজীবনে আমাদের মাইক্রোসফট এক্সেল সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিয়ে রাখতে হবে। আপনি যদি ভালোভাবে এক্সেল জানেন তবে সেটা চাকরির সিভিতে খুব সুন্দর করে উল্লেখ করে দিতে পারবেন। এতে করে আপনার সিভিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

এডোবি ফটোশপ

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং বর্তমানে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ফটো এডিটিং অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। ফটো ম্যানিপুলেশন শুরু করে কোনো একটি ছবি আরো সুন্দর করে তোলার জন্য মূলত ফটো এডিটিং ব্যবহার করা হয়। ফটো এডিটিং করার জন্য সবথেকে বহুল ব্যবহৃত হয়ে থাকে এডোবি ফটোশপ। এজন্য যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এডোবি ফটোশপ সম্পর্কে ছাত্রজীবন থেকেই কিছু দক্ষতা রাখাটা বুদ্ধিমানের কাজ।

ওয়েব ব্রাউজার

ওয়েব ব্রাউজার সম্পর্কে আমাদের সবার ভালো রকমের ধারণা থাকা উচিত কেননা এখন অনেক সফটওয়্যার ওয়েব ব্রাউজারে ব্যবহার করা যায়। ওয়েব ব্রাউজার সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানলে আমরা সফটওয়্যারগুলোকে ঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারব।

এই ছিল কিছু গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার যেগুলো সম্পর্কে ছাত্রজীবন থেকেই আমাদের সকলের জানা উচিত। এইগুলো আমাদেরকে অনেক সাহায্য করবে যদি আমরা ভালোভাবে এগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখি। এরকম আরো লেখা পড়তে হলে আমাদেরকে ফলো করতে পারেন পাঠগৃহ The Reading Room RSS Feed এর মাধ্যমে।

Previous Post Next Post

এই লেখাটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ওয়ালে শেয়ার করুন 😇 হয়তো এমনও হতে পারে আপনার শেয়ার করা এই লেখাটির মাধ্যমে অন্য কেউ উপকৃত হচ্ছে! এবং কারো উপকার করার থেকে ভাল আর কি হতে পারে?🥺