পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করতে গেলে, স্কুল-কলেজের পরিসংখ্যান অধ্যায়ের বিভিন্ন প্রশ্ন সমাধান করতে গেলে পরিসর নির্ণয় করার প্রয়োজন হয়। আজ আমরা শিখব পরিসর বের করার সূত্র। তার আগে জেনে নিই পরিসর কী?
পরিসর কী?
নিম্নসীমা ও ঊর্ধ্বসীমাসহ ওই ব্যাপ্তিতে মোট কতটি সংখ্যা আছে তা-ই পরিসর।
পরিসর নির্ণয়ের সূত্র
পরিসর = (সর্বোচ্চ সংখ্যা - সর্বনিম্ন সংখ্যা) + ১
এই একটি সূত্র দিয়েই সকল ধরনের পরিসর নির্ণয় করা সম্ভব। কোনো একটি উপাত্তের যতগুলো তথ্য আছে, সবগুলো তথ্য থেকে সর্বোচ্চ মান ও সর্বনিম্ন মানের পার্থক্যের সাথে ১ যোগ করলেই পরিসর পাওয়া যায়। নিচের উদাহারণ থেকে বুঝা যাক।
প্রশ্ন: ৪৫, ৫০, ৫৫, ৫১, ৫৬, ৫৭, ৫৬, ৬০, ৫৮, ৬০, ৬১, ৬০, ৬২, ৬০, ৬৩, ৬৪, ৬০, ৬১, ৬৩, ৬৬, ৫৭, ৬১, ৭০, ৭০, ৬৮, ৬০, ৬৩, ৬১, ৫০, ৫৫, ৫৭, ৫৬, ৬৩, ৬০, ৬২, ৫৬, ৬৭, ৭০, ৬৯, ৭০, ৬৯, ৬৮, ৭০, ৬০, ৫৬, ৫৮, ৬১, ৬৩, ৬৪।
এই উপাত্তের পরিসর কত?
উত্তর: এখানে সর্বোচ্চ সংখ্যা = ৭০ এবং
সর্বনিম্ন সংখ্যা = ৪৫।
সুতরাং, পরিসর = (সর্বোচ্চ সংখ্যা - সর্বনিম্ন সংখ্যা) + ১
বা, পরিসর = (৭০-৪৫) +১ = ২৬।
এভাবেই সহজেই পরিসর নির্ণয় করা যায়। এখন পরিসর কেন নির্ণয় করতে হয় তা জানা যাক।
পরিসর কেন নির্ণয় করতে হয়?
বিভিন্ন নৈর্বক্তিক প্রশ্নের উত্তর করতে পরিসর নির্ণয় করতে হতে পারে। এছাড়া কোনো উপাত্তকে সুন্দরভাবে সারণীতে সাজাতে যে শ্রেণিসংখ্যা নির্ণয় করতে হয় তার জন্যও পরিসর প্রয়োজন। শ্রেণিসংখ্যা নির্ণয়ের সূত্র হচ্ছে,
শ্রেণিসংখ্যা = (পরিসর ÷ শ্রেণি ব্যবধান)
পরিসর নির্ণয়ে কেন ১ যোগ করতে হয়?
আমরা জেনেছি যে, নিম্নসীমা ও ঊর্ধ্বসীমাসহ ওই ব্যাপ্তিতে মোট যতটি সংখ্যা থাকে তাকেই পরিসর বলে। এখন যখন আমরা পরিসর নির্ণয়ের জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যা থেকে সর্বনিম্ন সংখ্যা বিয়োগ করি, তখন মূলত আমাদের সর্বনিম্ন সংখ্যা বা নিম্নসীমা হিসাব থেকে বাদ পরে যায়। যেমন ৫ থেকে ২ বিয়োগ করলে আমরা গুণি- ৩, ৪, ৫। অর্থাৎ ৫ কে গুণলেও ৩ কে আর গুণি না। যেহেতু এই নিম্নসীমা বাদ পরার মাধ্যমে একটি সংখ্যা বাদ পরে যাচ্ছে, তাই এর সাথে ১ যোগ করে ওই নিম্নসীমাটিকেই একটি সংখ্যা হিসেবে গণনা করা হয়। একারণেই পরিসর নির্ণয়ের সময় ১ যোগ করতে হয়।