চাকরি পেতে কোন কম্পিউটার স্কিলগুলো থাকা প্রয়োজন?

বর্তমান সময়ে যেকোনো ধরনের কাজেই কম্পিউটার রিলেটেড কিছু বেসিক স্কিল থাকা প্রয়োজন। বেসিক কিছু কম্পিউটার স্কিল ছাড়া বর্তমান সময়ের প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা এমন ১০টি বেসিক কম্পিউটার স্কিল সম্পর্কে জানব যা আমাদের প্রত্যেকেরই অর্জন করা উচিত। এখন সাধারণ ক্লাস এইট পাস করা ব্যক্তির জন্যও যেমন প্রয়োজন, একজন বড় ইঞ্জিনিয়ার কিংবা কোনো বড় অফিসের জেনারেল ম্যানেজার; প্রত্যেকেরই এই স্কিল গুলো প্রয়োজন।

চাকরি পেতে কোন কোন কম্পিউটার স্কিল থাকা প্রয়োজন?

চাকরি পেতে যে ১০টি কম্পিউটার স্কিল আপনার থাকা প্রয়োজন

  • অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল
  • টাইপিং স্কিল (বাংলা এবং ইংরেজি)
  • স্প্রেডশিট (মাইক্রোসফট এক্সেল)
  • প্রেজেন্টেশন স্কিল (পাওয়ারপয়েন্ট)
  • বেসিক গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ডিজিটাল ক্যালেন্ডার
  • ভিডিয়ো কনফারেন্স
  • ইমেইল পাঠানো এবং গ্রহন
  • সোশ্যাল নেটওয়ার্ক মার্কেটিং
  • ট্রাবলশুটিং

এই প্রত্যেকটি স্কিল নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক তাহলে এবার।

১. অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল

নতুন কম্পিউটার কেনার পর প্রথমেই অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করতে হয়। সাধারণত যেখান থেকে কম্পিউটার কেনা হয়, সেখান থেকেই প্রথমবার ইন্সটল করে দেয়া হয়ে থাকে। বড় বড় কোম্পানিতে এসব কাজের জন্য আলাদা বিভাগ নিয়োজিত থাকে। তবে ছোট কোনো জায়গায় চাকরি পেতে গেলে এই স্কিলটি রাখতে হবে। নতুন কম্পিউটার ছাড়াও এই স্কিল আরও কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন। যেমন কোনো কারণে কম্পিউটার ফরম্যাট হয়ে গেলে কিংবা ফরমেট করলে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় অপারেটিং সিস্টেম চেঞ্জ করার প্রয়োজন হতে পারে। সেসব ক্ষেত্রে এই স্কিলটি থাকতে হবে প্রত্যেকের মধ্যে।

অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে বহুল ব্যবহৃত হয়ে থাকে বাংলাদেশে Windows। এছাড়া Linux, Macintosh, Ubuntu ও ব্যবহৃত হয়। এসব ইন্সটল, আনইন্সটল সম্পর্কিত জ্ঞান থাকতে হবে চাকরি পেতে গেলে। ইন্সটলের ক্ষেত্রে পেন্ড্রাইব বুটেবল করে ইন্সটল করা একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। এক্ষেত্রে বুট করার প্রক্রিয়া জানতে দেখুন "Windows 10 বুট করার পদ্ধতি" এবং আনবুট করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পড়ুন "পেনড্রাইভ আনবুট করার সহজ উপায়"। এখান থেকে আপনি শুধু একটি সাধারণ ধারনা পাবেন অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল সম্পর্কিত।

২. টাইপিং স্কিল

টাইপিং স্কিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টাইপিংয়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় একই সাথে ভালোভাবে আয়ত্ব করতে হবে।

  • বাংলা এবং ইংরেজি উভয়টি টাইপ করতে পারা।
  • দ্রুত টাইপ করতে পারা।
  • নির্ভুলভাবে টাইপ করতে পারা।
  • MS Word, Focus Writer, FreeOffice TextMaker এর মতো সফটওয়্যার ব্যবহার করে টাইপকৃত লেখাকে প্রসেসিং করতে পারা।

আপনি যদি কোনো সুপারশপের ক্যাশ কাউন্টারে কাজ করেন তাহলেও আপনাকে যেমন ভালো টাইপিং স্কিলের মালিক থাকতে হবে, তেমনি কোনো হাসপাতাল বা হোটেলের রিসিপসেন্টে কাজ করতেও এটা প্রয়োজন। বড় বড় চাকরির ক্ষেত্রে তো আলাদাকরে বলার কিছুই নেই। 

মোবাইলে টাইপ করা আর কম্পিউটারে টাইপ করা এক না, তবে মোবাইলে যারা খুব দ্রুত টাইপ করতে পারেন, কম্পিউটারেও তারা অল্প কয়েকদিনের প্র্যাকটিসে খুব ভালো টাইপ করা শিখে যেতে পারবেন। তবে শিখতে হবে, হুট করে একদিন বসে শিখে নেব চাকরির আগে- এমন চিন্তা করলে লাভ হবে না।

বাংলায় এবং ইরেজিতে টাইপ করা নিয়ে এবং MS Word সম্পর্কে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে। কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর আমরা আগেই বিভিন্ন সময় দিয়েছি। এখানে তা একসাথে উল্লেখ করে দিচ্ছি।

এখান থেকে আপনার প্রশ্নের উত্তর না পেলে আমাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজে। যা বলছিলাম, চাকরি পেতে চাইলে টাইপিং দক্ষতা ভালো করা ছাড়া আসলে কোনো উপায় নেই। টাইপিং স্পিডের সাথে তাকে প্রফেশনাল একটি রূপ দিতে অন্তত MS Word এর ব্যবহার খুব ভালোভাবে শিখতেই হবে।

৩. স্প্রেডশিট

স্প্রেডশিটের ব্যবহার সম্পর্কে ভালোভাবে জানা, জ্ঞান রাখা, প্রয়োজনমতো ফিচার ব্যবহার করতে পারা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বর্তমান চাকরির বাজারে। আপনি যদি কোনো স্কুলের কোনো মার্কশিট তৈরি করতে চান, কিংবা কোনো দোকানের বেচাকেনার হিসাব রাখতে চান, কিংবা বিশাল বড় ডেটা সায়েন্টিস্ট হতে চান, তবে আপনাকে স্প্রেডশিটের ব্যবহার জানতে হবে। উপরে যে কাজগুলোর উদাহারণ দিলাম সেসব কাজ আমাদের আশেপাশের মানুষ বর্তমানে মাইক্রোসফট এক্সেল (MS Excel) ব্যবহার করেই সম্পন্ন করে থাকে। এক্সেলও একটি স্প্রেডশিট। এক্সেল ছাড়াও আরও অনেক স্প্রেডশিট রয়েছে

জনপ্রিয় স্প্রেডশিট সফটওয়্যার:

  • MS Excel
  • Apache OpenOffice
  • Zoho Sheet
  • Think Free
  • Bime
  • LibreOffice

মাইক্রোসফট এক্সেল সম্পর্কে জানতে চাইলে দেখতে পারেন "MS Excel Tutorial Bangla PDF"। এখান থেকে আপনি শুধু একটি বেসিক ধারনা পাবেন এক্সেল সম্পর্কে।

৪. প্রেজেন্টেশন স্কিল

সাধারণত আমাদের দেশে ইউনিভার্সিটি লেভেল থেকেই প্রেজেন্টেশন স্কিলের প্রয়োজন পড়ে। চাকরিতে এর প্রয়োজনটা আরও অনেক বেশি। প্রেজেন্টেশন মূলত কোনো একটি কিছু যখন অন্য কাউকে বুঝিয়ে বলব, তখন সেই বুঝানোর সাথে কিছু গ্রাফ, তথ্য, পেপার কাট, টেবিল ইত্যাদি যুক্ত করে বুঝানোর সাথে সাথে দেখানোও, যাতে করে অডিয়েন্সের বুঝতে সুবিধা হয়। চাকরির ক্ষেত্রে এটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি স্কিল।

খুব ভালো প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে পারার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে থাকে চাকরির বাজারে। প্রেজেন্টেশনের কথা বললেই আমাদের মাথায় প্রথমেই চলে আসে MS PowerPoint এর কথা। তবে পাওয়ারপয়েন্ট ছাড়াও আরও কিছু সফটয়্যার আছে যা দিয়ে স্লাইড বানিয়ে প্রেজেন্টেশন দেয়া সম্ভব।

প্রেজেন্টেশন তৈরির কিছু সফটওয়্যার:

  • MS PowerPoint
  • Google Slide
  • Canva
  • Keynote
  • Zoho Show
  • Vyond

এগুলো ব্যবহার করে সহজেই আপনি স্লাইড তৈরি করে পেজেন্টেশন দিতে পারবেন। অন্তত মাইক্রোসফট পাওয়াপয়েন্ট সম্পর্কে আপনার জ্ঞান থাকতেই হবে।

৫.  বেসিক গ্রাফিক্স ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন একটি স্কিল যা পারলে আপনি ফ্রিল্যান্স করেই ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন কিংবা শুধু গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবেও যেকোনো ফার্মে জয়েন করে ভালো স্যালারিতে জব করতে পারবেন। তবে সেজন্য আপনাকে প্রফেশনাল হতে হবে। স্বাভাবিক অবস্থায় আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনে আগ্রহী না হয়ে থাকেন, তবে অন্তত বেসিক কিছু ব্যাপার জানা থাকতে হবে। আপনি যদি Adobe Illustrator কিংবা Adobe InDesign এর কাজ শিখতে পারেন তাহলে ভালো। তবে অন্তত অনলাইন এডিটর Canva বা ক্যানভার মতো অন্য কোনো এডিটর ব্যবহার করে বেসিক একটি ডিজাইন করতে পারাটা বাধ্যতামূলক। গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য অনেকগুলো ভালো সফটওয়্যার আছে। এছাড়া গ্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য অনেক বইও পাওয়া যায়, যার একটি টেন মিনিট স্কুলের আসিফ হোসেনের "গ্রাফিক ডিজাইনের আসল ফান্ডা PDF"। এসব ছাড়াও আপনি চাইলে Sketch, Affinity Designer, GIMP, Grafit Designer ব্যবহার করেও গ্রাফিক ডিজাইন করতে পারেন।

৬. ডিজিটাল ক্যালেন্ডার

ক্যালন্ডার আমরা কেন ব্যবহার করি? তারিখ জানার জন্য? আমাদের যদি নির্দিষ্ট কোনো তারিকে কোনো নির্দিষ্ট কাজ থাকে তাহলে আমরা আগে থেকেই ক্যালেন্ডারে ওই দিনটা দাগিয়ে রাখি যাতে করে দেখলেই আমাদের মনে পরে যায় কাজটির কথা। কিন্তু সমসময় কি সেই ক্যালেন্ডারের দিকে তাকানো হয়ে ওঠে?

বর্তমান সময়ে আমরা মোবাইল ফোনের সাথেই বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে থাকি। সেক্ষেত্রে মোবাইল ফোনে যদি এমন ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা যায়, যেখানে ক্যালেন্ডারে নির্দিষ্ট ডেটে, এমনকি নির্দিষ্ট টাইমে কোনো ইভেন্ট আগে থেকে ইনপুট দেয়া থাকে তাহলে আপনার চাহিদা অনুযায়ী সময়মতো বা তারও কিছু আগে আপনাকে জানিয়ে দেবে যে আপনার কাজ আছে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। তবে চাকরির ক্ষেত্রে আরও বেশি। পাশাপাশি চাকরির ক্ষেত্রে পুরো অফিসের সবাই মিলেও একটি ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা যায় অনলাইনে। তাই কেউ কোনো ইভেন্টযুক্ত করলে বাকিরা সাথে সাথেই সে সম্পর্কে জানতে পারে এবং পরে সময়মতো আবার নোটিফিকেশন পেয়ে থাকে। 

এন্ড্রয়েডের জন্য সেরা কয়েকটি ডিজিটাল ক্যালেন্ডার হলো:

  • Google Calendar
  • Simple Calendar
  • Calengoo
  • Calendar Notify
  • Any.do Task and Calendar

iOS ডিভাইজের জন্য Google Calendar-এর পাশাপাশি Apple Calendar ব্যবহার করা যেতে পারে।

৭. ভিডিয়ো কনফারেন্স

বর্তমান সময়ে ভিডিয়ো কনফারেন্স খুব গুরুত্বপূর্ণ। চাকরির ক্ষেত্রে হতেই পারে এমন যে, যাদের মিটিংয়ে থাকা উচিত তাদের প্রত্যেকে এই মুহুর্তে এভেইলেবল নেই, কিন্তু মিটিং করাটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তার থাকাও। সেক্ষেত্রে সলিউশন হচ্ছে ভিডিয়ো কনফারেন্স। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মার্কেট ভ্যালু দিনদিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে। ভিডিয়ো কনফারেন্স শুরু করতে পারা, ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারা, প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যকে মিউট বা আনমিউট করতে পারা, ক্যামেরা অন-অফ করতে পারা, ভিডিয়ো কনফারেন্সেই স্লাইড শো করে প্রেজেন্টেশন দেয়া কিংবা হুয়াইট বোর্ড ওপেন করে কোনো কিছু বুঝানো- এসকল দক্ষতা বর্তমান চাকরির বাজারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমান সময়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সের জন্য অনেকগুলো ভালো সফটওয়্যার রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি হলো:

  • Zoom
  • Google Meet
  • Slack
  • BlueJeans
  • Skype
  • GoToMeeting

এগুলোর মধ্য থেকে Zoom, Google Meet এবং Skype for Business এর ব্যবহার পদ্ধতি অন্তত প্রত্যেকের জানা উচিত।

৮. ইমেইল পাঠানো ও গ্রহন

ইমেইলের গুরুত্ব বর্তমান সময়ে আলাদাভাবে বলার আসলে তেমন কোনো প্রয়োজনীয়তাই নেই। এই ইমেইল আমরা হয়তো শুধু কোনো রকমভাবে পাঠাতে পারি এবং অন্য কেউ পাঠালে আমরা তা দেখতে পারি। কিন্তু এর বাইরে যে আরও কত রকমভাবে ইমেইল ব্যবহার করা যেতে পারে, সে সম্পর্কে আমরা বেশিরভাগ মানুষই একেবারেই অজ্ঞ। চাকরির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকলে গেলে এ বিষয়গুলো জানতে হবে। ইমেইলের জন্য Gmail, Yahoo, Outlook, AOL, Zoho ইত্যাদি আমরা অনেকেই ব্যবহার করে থাকি। তবে বিজনেসের জন্য এবং প্রমোশনের জন্য আমাদের মেইলগুলোকে কাস্টোমাইজড করে অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপনের সুযোগ থাকে। MailChimp এসবের মধ্যে জনপ্রিয় একটি।

৯. সোশ্যাল নেটওয়ার্ক মার্কেটিং

বর্তমান পৃথিবীতে মানুষ যতটা টেলিভিশন কিংবা পত্রিকা বা ম্যাগাজিনে বিজ্ঞাপন দেখে কোনো কিছুর প্রতি প্রভাবিত হয়, তার থেকে অনেক বেশি প্রভাবিত হয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং থেকে। ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, টিকটক ব্যবহার করে মার্কেটিং করতে পারলে তা অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব অল্প সময়ে এবং অল্প খরচে। সাথে আমি যাদেরকে চাই, তাদেরকে আলাদাভাবে টার্গেট করা যাবে। তাই ফেসবুকে কিভাবে একটি পেজ, একটি গ্রুপ ভালোভাবে মেইন্টেইন করতে হয়, ইন্সটাগ্রাম, টুইটারসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে কিভাবে নিজেদের কার্যক্রম, নতুন প্রোডাক্ট কিংবা অন্য যেকোনো কিছু মানুষের সাথে শেয়ার করলে মানুষ তাতে এঙ্গেজ হবে, তা সম্পর্কে বেসিক আইডিয়া থাকতে হবে।

Statista এর ফেব্রুয়ারি ২০২৩ এ প্রকাশিত তথ্যমতে, সারাবিশ্বে বর্তমানে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারী ৪.৫৯ বিলিয়ন এবং এখানে বিজ্ঞাপনের পেছনে খরচ করা হয়েছে ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি টাকায় যার ডিজিটগুলো দেখতে ২৪৮৩৩৩৩০০০০০০০ টাকা (এপ্রিল ২৬, ২০২৩ এর রেট অনুযায়ী)।

১০. ট্রাবলশুটিং

ট্রাবলশুটিং কী? এর উত্তরে বলা যায়, কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানকেই ট্রাবলশুটিং বলা হয়। কম্পিউটার ব্যবহারের সময় বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। সমস্যাগুলোর কারণ খুঁজে বের করতে পারা এবং তার সমাধান করতে পারা গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। তবে প্রত্যেকের জন্য এটি খুব একটা সহজ কিছু না। সেক্ষেত্রে অন্তত বেসিক কিছু সমস্যা ও সমাধান কিংবা কার কাছে নিয়ে গেলে সমাধান করে দিতে পারবে সে সম্পর্কে জানাটা গুরুত্বপূর্ণ। কোনো পার্ট নষ্ট হলে তা রিপ্লেস করা, ভাইরাসমুক্ত রাখার কৌশল, কোন মাউস, কীবোর্ড বা পিসি পার্ট আমার জন্য ভালো হবে তা বুঝতে পারাটাও গুরুত্বপূর্ণ।

পরিশেষে

চাকরিতে ঢুকতে গেলে এই স্কিলগুলো আমাদের প্রত্যেকেরই প্রয়োজন। যারা লেখাপড়া করে তার উপরেই ক্যারিয়ার তৈরি করতে চান, তাদের উচিত কলেজ জীবন থেকেই এগুলোতে পারদর্শী হয়ে ওঠা। পারলে স্কুল জীবনেই। তবে অন্তত বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসব সম্পর্কে জ্ঞান থাকাই চাই। পড়াশুনা শেষ করে চাকরির আগে শিখে নেব, এমন বিশ্বাস থাকলে চাকরির বাজারের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে হবে। মাথায় রাখতে হবে, যোগ্যরাই টিকে থাককে; "Survival of the Fittest"

Md. Rabiul Mollah

Okay! So here I'm Md. Rabiul Mollah from Pathgriho Network. I'm currently a student of B.Sc in Textile Engineering Management at Bangladesh University of Textiles. facebook instagram github twitter linkedin

Post a Comment

Previous Post Next Post

এই লেখাটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ওয়ালে শেয়ার করুন 😇 হয়তো এমনও হতে পারে আপনার শেয়ার করা এই লেখাটির মাধ্যমে অন্য কেউ উপকৃত হচ্ছে! এবং কারো উপকার করার থেকে ভাল আর কি হতে পারে?🥺